চোখের দর্শন কৌশল।চোখের উপযােজন প্রক্রিয়া

চোখের দর্শন কৌশল আমরা কিভাবে দেখি? দর্শনীয় বস্তু হতে আগত আলােক রশ্মি ক্রমান্বয়ে কর্নিয়া, অ্যাকুয়াস হিউমার, পিউপিল, লেন্স ও ভিট্রিয়াস হিউমার এর মধ্য দিয়ে রেটিনায় পতিত হয়। আপতিত আলােক রশ্মি লেন্সের মধ্য দিয়ে যাওয়ার সময় প্রতিসৃত হয়ে রেটিনার ফোবিয়া সেন্ট্রালিসের উপর একগুচ্ছ অভিসারী রশ্মিরূপে প্রতিফলিত হয়। ফলে রেটিনার উপর বস্তুটির ছােট ও উল্টা প্রতিবিম্ব তৈরি …

Read more

রক্ত গ্রুপ (Blood Group)।সার্বজনীন দাতা ও গ্রহীতা

রক্তের গ্রুপ রক্ত কণিকার প্লাজমামেমব্রেনে অবস্থিত বিভিন্ন অ্যান্টিজেনের উপস্থিতির ভিত্তিতে রক্তের শ্রেণিবিন্যাসকে রক্ত গ্রুপ (Blood Group) বলে। আমেরিকার জীববিজ্ঞানী কার্ল ল্যান্ডস্টেইনার (Karl Landsteiner) ১৯০১ সালে মানুষের রক্তের শ্রেণিবিন্যাস করেন। রক্ত কণিকায় অ্যান্টিজেনের উপস্থিত ও অনুপস্থিতির উপর নির্ভর করে রক্তের যে শ্রেণিবিন্যাস করেন, তা ABO ব্লাড গ্রুপ নামে পরিচিত। অনেক সময় একে ল্যান্ডস্টেইনার এর ব্লাড গ্রুপ …

Read more

মানবদেহের রক্ত সংবহনতন্ত্র

রক্ত সংবহনতন্ত্র মানবদেহের রক্ত সংবহনতন্ত্র প্রধানত: ২ ধরনের। ১. সিস্টেমিক সংবহনতন্ত্র (Systemic circulatory system)২. পালমােনারি সংবহনতন্ত্র (Pulmonary circulatory system) সিস্টেমিক সংবহনতন্ত্র যে সংবহনে রক্ত বাম নিলয় হতে বিভিন্ন রক্ত কণিকার মাধ্যমে অঙ্গগুলােতে পৌঁছায় এবং অঙ্গগুলাে থেকে ডান অলিন্দে ফিরে আসে তাকে সিস্টেমিক সংবহন (Systemic circulation) বলে। সিস্টেমিক ধমনির উদ্ভব হয় অ্যাওটা থেকে, আর অ্যাওটার উদ্ভব …

Read more

হৃদচক্র

হৃদচক্র হৃদপিন্ডের সংকোচন ও প্রসারণের ফলে রক্ত দেহের অভ্যন্তরে গতিশীল থাকে। এমনকি বিশ্রামরত অবস্থায়ও এর সংকোচন ও প্রসারণ চক্রাকারে চলতে থাকে। হৃদপিণ্ডের প্রকোষ্ঠগুলাের সংকোচনকে সিস্টোল এবং সম্প্রসারণকে ডায়াস্টোল বলে। এক বারের সিস্টোল ও ডায়াস্টোলকে একত্রে হৃদস্পন্দন বা হার্টবিট (Heart Beat)বলে। একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের হৃদপিন্ডের স্বাভাবিক স্পন্দনের হার প্রতি মিনিটে ৭০-৮০ বার, গড়ে ৭৫ বার। …

Read more

হৃদপিণ্ড ও এর বাহ্যিক গঠন

হৃদপিণ্ড পেশিবহুল ত্রিকোণাকার, ফাঁপা, চার প্রকোষ্ঠযুক্ত পাম্পের মতাে যন্ত্র যার সংকোচন ও প্রসারণের ফলে সারা দেহে রক্ত সঞ্চালিত হয় তাকে হৃদপিণ্ড বলে। রক্তকে রক্তবাহিকার ভেতর দিয়ে সঞ্চালনের জন্য হৃদপিণ্ড মানবদেহের পাম্প যন্ত্ররূপে কাজ করে। মানব হৃদপিন্ডের ওজন একটি হৃদপিণ্ডের ওজন প্রায় ৩০০ গ্রাম, তবে স্ত্রীলােকের ক্ষেত্রে তা পুরুষের তুলনায় ১/৩ অংশ কম হয়। হৃদপিন্ডের অবস্থান …

Read more

ক্রসিংওভার

ক্রসিংওভার এক জোড়া সমসংস্থ ক্রোমােসােমের দুটি নন সিস্টার ক্রোমাটিড এর মধ্যে অংশের বিনিময়কে ক্রসিংওভার বলা হয় । আবিষ্কার থমাস হান্ট মর্গান (১৯০৯) ভুট্টা উদ্ভিদে প্রথম ক্রসিংওভার সম্পর্কে ধারণা দেন।ক্রসিংওভারের কৌশল :প্রথমে দুটি নন সিস্টার ক্রোমাটিড একই স্থান বরাবর ভেঙ্গে যায়, পরে একটি অংশের সাথে অপরটির অন্য অংশ পুনরায় জোড়া লাগে। ফলে কায়াজমা (‘X’ আকৃতি) সৃষ্টি …

Read more

দ্বিতীয় অধ্যায়ঃ মায়ােসিস কোষ বিভাজন

মায়ােসিস কোষ বিভাজন সংজ্ঞা মায়ােসিস একটি বিশেষ ধরনের কোষ বিভাজন প্রক্রিয়া যাতে মাতৃকোষের নিউক্লিয়াসটি দু’বার কিন্তু ক্রোমােসােমসমূহ একবার বিভাজিত হয়, ফলে সৃষ্ট চারটি কোষে ক্রোমােসােম সংখ্যা মাতৃকোষের ক্রোমােসােম সংখ্যার অর্ধেক হয়। তাই এ ধরনের বিভাজনকে হ্রাসমূলক বিভাজন বলে। আবিষ্কার বেনেডিন এবং হাউসার (১৮৮৩) কৃমির গ্যামিটে হ্যাপ্লয়েড (n) সংখ্যক ক্রোমােসােম আবিষ্কার করেন। Strashburger ১৮৮৮ সালে পুষ্পক …

Read more

মায়ােসিস কোষ বিভাজনের ধাপঃমায়ােসিস-২

মাইটোসিসের ন্যায় মায়ােসিসও একটি অবিচ্ছিন্ন ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। কোষ, নিউক্লিয়াস এবং ক্রোমােসােম এর বিভক্তির উপর ভিত্তি করে মায়ােসিস কোষ বিভাজনকে দুটি পর্বে ভাগ করা হয়। যথা- (ক) মায়ােসিস-১ এবং (খ) মায়ােসিস-২। নিম্নে মায়োসিস-২ পর্যায়ের বর্ননা দেওয়া হলো। মায়ােসিস-২ মায়ােসিস-১ দ্বারা সৃষ্ট প্রতিটি নিউক্লিয়াস মায়ােসিস-২ দ্বারা বিভক্ত হয়। মায়ােসিস-২ কে আবার চারটি পর্যায়ে ভাগ করা হয়। যথা- …

Read more

দ্বিতীয় অধ্যায়ঃ কোষ বিভাজন

কোষ বিভাজন বিভাজনের মাধ্যমে সংখ্যাবৃদ্ধি কোষের একটি স্বাভাবিক এবং অতি গুরত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। এককোষী জীব যেমন- ব্যাকটেরিয়া, ঈষ্ট, Navicula প্রভৃতি বার বার বিভাজনের মাধ্যমে একটি থেকে অসংখ্য এককোষী জীবে পরিণত হয়। বিশালদেহী একটি বটগাছের সূচনাও কিন্তু একটি মাত্র কোষ জাইগােট হতে। এককোষী নিষিক্ত ডিম্বক হতে কোষ বিভাজন প্রক্রিয়ায় একটি পরিণত মানুষের সৃষ্টি হয়। কোষ বিভাজন একটি …

Read more

জিন।জেনেটিক কোড

জিন জিন ক্রোমােসােমস্থ DNA-এর অংশ যা বংশগতির আণবিক একক হিসেবে কাজ করে। অন্যভাবে বলা যায়, জিন হলাে ক্রোমােসােমের সুনির্দিষ্ট স্থানে (লােকাসে) অবস্থিত DNA অণুর সুনির্দিষ্ট সিকুয়েন্স যা জীবের একটি নির্দিষ্ট কার্যকর সংকেত ধারণ করে এবং প্রােটিন হিসেবে বৈশিষ্ট্যের বহিঃপ্রকাশ ঘটায়। জিন প্রকৃতপক্ষে জীবেরকোষ গঠন ও নিয়ন্ত্রণে যাবতীয় তথ্য ধারণ করে এবং পরবর্তী প্রজন্মে এ সমস্ত …

Read more