উপাঙ্গীয় কঙ্কাল (Appendicular Skeleton)

মানুষের কঙ্কালতন্ত্রকে প্রধান দুটি অংশে ভাগ করা হয়। যথা- (১) অক্ষীয় কঙ্কাল (Axial skeleton) (২) উপাঙ্গীয় কঙ্কাল (Appendicular skeleton) নিম্নে উপাঙ্গীয় কঙ্কালের বিস্তারিত বর্ননা দেওয়া হলো । মানুষের একজোড়া অগ্রপদ বা হাত, একজোড়া পশ্চাৎপদ বা পা, বক্ষ অস্থিচক্র (Pectoral girdle) ও শ্রোণিচক্র (Pelvic girdle) নিয়ে উপাঙ্গীয় কঙ্কালতন্ত্র গঠিত। বক্ষ অস্থিচক্র (Pectoral girdle) মানুষের দেহের দুই …

Read more

একটি আদর্শ কশেরুকার অংশসমূহ (Different parts of a typical vertebra)

একটি আদর্শ কশেরুকার অংশসমূহ (Different parts of a typical vertebra) একটি আদর্শ কশেরুকার সাতটি অংশ থাকে। এদের সকলের গঠন প্রায় একই রকম। তবে মেরুদণ্ডে অবস্থান ও কাজের ভিত্তিতে এদের গঠনে কিছু পার্থক্য থাকে। নিচে মানুষের একটি আদর্শ (বক্ষদেশীয় কশেরুকা)।কশেরুকার গঠন বর্ণনা করা হলাে: ১। সেন্ট্রাম (Centrum) : সেন্ট্রাম কশেরুকার মূলদেহ। এটি শক্ত, পুরু ও স্পঞ্জি …

Read more

অষ্টম অধ্যায়ঃ মানব শারীরতত্ত্বঃ চলন ও অঙ্গ চালনা

কঙ্কাল প্রাণিদেহের সবচেয়ে শক্ত অংশ যা দেহের কাঠামো তৈরি করে এবং ভার বহন করে তাকে কঙ্কাল বলে। কঙ্কালতন্ত্র ভ্রূণীয় মেসােডার্ম স্তর থেকে সৃষ্ট অস্থি, তরুণাস্থি ও লিগামেন্ট এর সমন্বয়ে গঠিত যে তন্ত্র দেহের কাঠামাে সৃষ্টি করে, নির্দিষ্ট আকার আকৃতি দান করে, ভার বহন করে এবং অভ্যন্তরীণ অঙ্গাদি সুরক্ষিত রাখে, তাদেরকে একত্রে কঙ্কালতন্ত্র বলে। কঙ্কালতন্ত্রের কাজ …

Read more

হৃদরােগঃবুকে ব্যথা,হার্ট অ্যাটাক,হার্ট ফেইলিউর

হৃদরােগ মানবদেহের শারীরতত্ত্বে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় রয়েছে হৃদপিণ্ড। এটি মাংসল, ফাঁপা ও মোঁচার ন্যায় অঙ্গ। হৃদপিণ্ড ও রক্তবাহিকাগুলাে স্বাভাবিকভাবে কাজ করতে ব্যর্থ হলে একাধিক ধরনের অস্বাভাবিকতা দেখা দেয়। এগুলােকে একত্রে হৃদরােগ বলা হয়। যেমন- উচ্চ রক্ত চাপ, ধমনির কাঠিন্যতা, বুকে ব্যথা, হার্ট অ্যাটাক এবং হার্ট ফেইলিউর ইত্যাদি। বুকে ব্যথা বুকে ব্যথা সাধারণত: হৃদপিণ্ডে স্বাভাবিক রক্ত …

Read more

চতুর্থ অধ্যায়ঃ রক্ত ও সংবহনতন্ত্র

সংবহনতন্ত্র যে তন্ত্রের মাধ্যমে প্রাণিদেহে শ্বসনবায়ু,খাদ্যসার,রেচনপদার্থ, হরমোন ইত্যাদি শারীরবৃত্তীয় উপাদান পরিবাহিত হয় তাকে সংবহনতন্ত্র বলে। রক্ত সংবহনতন্ত্র যে তন্ত্রের মাধ্যমে সারাদেহে রক্ত সংবহিত হয় তাকে রক্ত সংবহনতন্ত্র বলে। রক্ত সংবহনতন্ত্র ৩টি প্রধান অংশ নিয়ে গঠিত। এগুলো হলো- ১) রক্ত ২) রক্তনালি ৩) হৃদপিন্ড। রক্ত রক্ত এক ধরনের লাল বর্ণের তরল যােজক কলা। রক্তবাহিকার মাধ্যমে রক্ত …

Read more

খাদ্যসার পরিশােষণ।স্থূলতা (Obesity)

খাদ্যসার পরিশােষণ (Absorption of digested food nutrients) পরিপাকতন্ত্রের পাকস্থলি থেকেই মূলত খাদ্যসার পরিশােষণের সূচনা ঘটে এবং বৃহদন্ত্র পর্যন্ত এ প্রক্রিয়া চলতে থাকে। পাকস্থলিতে পরিশােষণ পাকস্থলিতে খাদ্য সম্পূর্ণরূপে পাচিত না হওয়ায় এখানে খুব অল্প পরিমাণে খাদ্য পরিশােধিত হয়। এছাড়া পাকস্থলির মিউকোসাতে কোন ভিলাই (Villi) না থাকায় এটি খাদ্য পরিশােষণের উপযুক্ত নয়। তবে কিছু মাত্রায় পানি, অ্যালকোহল, …

Read more

নেফ্রন (nephron)। গঠন ও কাজ

নেফ্রনের গঠন ও কাজ নেফ্রন কাকে বলে? বৃক্কের গাঠনিক ও কার্ষিক একক কে নেফ্রন (nephron) বলে। বৃক্কের সূক্ষ্ম গঠন মানুষের বৃক্কের সূক্ষ্ম গঠন বলত্ব নেফ্রনের গঠনকেই বোঝায়। নেফ্রনের সংখ্যা প্রত্যেক বৃক্কে ১০ লক্ষ থেকে ১২ লক্ষ নেফ্রন আছে।প্রতিটি নেফ্রন প্রায় ৩ সে.মি. লম্বা।এ হিসেবে প্রত্যক বৃক্কের নেফ্রনের নালিকাগুলাে সম্মিলিতভাবে ৩৬কিলোমিটার(প্রায় ২২.৫ মাইল) এরও বেশি লম্বা। …

Read more

ষষ্ঠ অধ্যায়-মানব শারীরতত্ত্বঃবর্জ্য ও নিষ্কাশন

মানব শারীরতত্ত্বঃবর্জ্য ও নিষ্কাশন রেচন পদার্থ অপচিতি মূলক বিপাক এর ফলে দেহে যেসব নাইট্রোজেনঘটিত দূষিত পদার্থ উৎপন্ন হয় সেগুলােকে রেচন পদার্থ বলে। রেচন যে প্রক্রিয়ায় নাইট্রোজেনঘটিত দূষিত পদার্থ দেহ থেকে নিষ্কাশিত হয় তাকে রেচন (excretion) বলে। রেচনতন্ত্র যে তন্ত্রের মাধ্যমে এসব বর্জ্য দেহ থেকে অপসারিত হয় তাকে বলা হয় রেচনতন্ত্র(excretory/urinary/renal system) বলে। মানুষের প্রধান রেচন …

Read more

পঞ্চম অধ্যায়ঃ শ্বসন ও শ্বসনক্রিয়া

শ্বসন ও শ্বাসক্রিয়া শ্বসন যে শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়ায় প্রাণী বিরামহীনভাবে পরিবেশ থেকে অক্সিজেন গ্রহণ করে এবং সে অক্সিজেনের সাহায্যে কোষ মধ্যস্থ সরল খাদ্যকে জারিত করে খাদ্যস্থিত স্থিতিশক্তিকে গতিশক্তিতে রূপান্তর করে এবং এতে উৎপন্ন কার্বন ডাইঅক্সাইডকে দেহ হতে ত্যাগ করে তাকে শ্বসন (Respiration) বলে। শ্বসনের দু’টি পর্যায় থাকে। যথা- বহিঃশ্বসন (External respiration) ও অন্তঃশ্বসন (Internall respiration)। বহিঃশ্বসন …

Read more

শর্করা,আমিষ,লিপিড পরিপাক ও পরিশোষন

শর্করা(কার্বোহাইড্রেট) পরিপাক ও পরিশোষণ শর্করা জাতীয় পরিপাকে অংশগ্রহণকারী এনজাইম সমূহঃ ১. লালা রসে টায়ালিন ও মলটেজ। ২. পাকস্থলি রসে: শর্করা পরিপাককারী কোন এনজাইম নেই। ৩. অগ্ন্যাশয় রসে: অ্যামাইলেজ ও মলটেজ। ৪. আন্ত্রিক রসে: অ্যামাইলেজ, মলটেজ, সুক্রেজ, ল্যাকটেজ, আইসােমলটেজ। শর্করাজাতীয় খাদ্য পরিপাকে পরিপাকতন্ত্রের বিভিন্ন অংশের ভূমিকা মুখবিবরে শর্করা পরিপাক মানুষের মুখবিবরে কেবলমাত্র শর্করার পরিপাক ঘটে। মুখবিবরে …

Read more