যৌনবাহিত রােগঃসিফিলিস,গনোরিয়া,এইডস

যৌনবাহিত রােগ

যে সব রােগ যৌন মিলনের সময় সংক্রমণের মাধ্যমে এক ব্যক্তি থেকে অন্য ব্যক্তিতে ছড়িয়ে পড়ে সে সব রােগকে যৌনবাহিত রােগ (Sexually Transmitted Disease, STDs) বলে।

চিকিৎসাবিদ্যার সংজ্ঞা অনুযায়ী, সংক্রমণের ফলে লক্ষণ প্রকাশ পেলে তাকে রােগ (disease) বলে।

যেহেতু অনেক সময় যৌনবাহিত রােগের লক্ষণ প্রকাশ পায় না তাই এ অবস্থাকে যৌনবাহিত রােগ না বলে যৌনবাহিত সংক্রমণ (Sexually transmitted infections) বলে । রােগের লক্ষণ প্রকাশ পাক না পাক সাধারণ মানুরে কাছে এগুলাে যৌনবাহিত রােগ নামেই বহুল পরিচিত। অনেক ধরনের যৌনবাহিত রােগ ও সংক্রমণ রয়েছে। কেবল নিরাপদ যৌনমিলনের মাধ্যমেই এসব রােগ ও সংক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।

নিচে ৩টি যৌনবাহিত রােগ (সিফিলিস, গনােরিয়া ও এইডস) এর কারণ, লক্ষণ ও প্রতিকার নিয়ে আলােচনা করা হলাে-

১। সিফিলিস (Syphilis)

সিফিলিস একটি যৌনবাহিত রােগ। এ রােগে দেহে দীর্ঘকালীন জটিলতা দেখা দেয় এবং সঠিক চিকিৎসা না করালে মানুষের মৃত্যুও হতে পারে।

রােগের কারণ ও সংক্রমণ

Treponema pallidum নামক ব্যাকটেরিয়া দ্বারা এ রােগ সংক্রমিত হয়। এ জীবাণুগুলাে গরম ও স্যাতস্যাতে জায়গায় বসবাস করতে পছন্দ করে। ফলে মুখ, পায়ুপথ ও যৌনাঙ্গকে এরা সহজেই বেছে নেয়। মূলত নারী পুরুষের সাথে যৌন মিলনের মাধ্যমে এ রােগ ছড়ায়। যে কোন ধরনের যৌন মিলনের মাধ্যমে এ রােগে এক দেহ হতে অন্য দেহে সংক্রমিত হতে পারে। এছাড়া চুম্বনের মাধ্যমেও এ রােগ সংক্রমিত হতে পারে। রােগীর রক্ত গ্রহণের মাধ্যমেও এ রােগ হয়। আবার গর্ভাবস্থায় মায়ের সিফিলিস থাকলে ভূমিষ্ঠ সন্তান এ রােগে আক্রান্ত হয়।

রােগের লক্ষণ

রােগের প্রাথমিক অবস্থায় এক মাসের মধ্যে চামড়ায়- দৃঢ়, ব্যথাবিহীন, চুলকানিবিহীন ক্ষতের সৃষ্টি হয়। একে ক্যাঙ্কার (Canker) বলে। ধীরে ধীরে এটা বড় হয়ে ফোস্কা বা ঘায়ের মতাে হতে থাকে। নারী ও পুরুষ উভয়ের দেহে এ রােগ হতে পারে।

রােগ শুরুর দুই মাসের মধ্যে চিকিৎসা না নিলে এ ঘা সমগ্র দেহে ছড়াতে থাকে সে সাথে জ্বর ও মাথা ব্যথার মতাে উপসর্গ দেখা দেয় এবং শরীরের বিশেষ করে কুচকির (Groin) গ্রন্থিগুলাে বড় হয়ে যেতে থাকে। এ রােগ পায়ুপথ, ঠোট,মুখ, গলনালি, খাদ্যনালি এমনকি শ্বাসনালিতেও ছড়িয়ে যেতে পারে। এ অবস্থায় কেউ যদি চিকিৎসা নিতে অবহেলা করে তবে রােগটি খুবই জটিল আকার ধারণ করে। তবে অনেকের ক্ষেত্রে রােগটি সুপ্ত অবস্থায় চলে যায় এবং বছর দুয়েক সুপ্ত থাকার পর ভয়াবহরূপে দেখা দেয়।

এভাবে চিকিৎসাহীন থেকে গেলে পুরুষাঙ্গের মাথায় বিশাল আকৃতির বিশ্রী ক্ষত বা ঘা হয়, অবস্থা আরাে জটিল হয়ে এক সময় এ রােগ চোখ, স্নায়ুতন্ত্র , হৃদপিণ্ড ও মস্তিষ্কে ছড়িয়ে পরে বিভিন্ন ধরনের জটিলতা সৃষ্টি করে,এমনকি রােগীটিকে মৃত্যুর দিকে নিয়ে যায়।

চিকিৎসা

 প্রাথমিক পর্যায়েই সিফিলিসের চিকিৎসা করানাে উচিত। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী পেনিসিলিন শ্রেণির ওষুধ সেবন অথবা ইনজেকশন গ্রহণ করলে এ রােগ সম্পূর্ণরূপে ভালাে হয়ে যায়। স্বামী-স্ত্রী বা যৌনসঙ্গী উভয়েরই চিকিৎসা নেয়া উচিত অন্যথায় এর সংক্রমণ সঙ্গীর নিকট থেকে আবারও হতে পারে।

প্রতিরােধ

 এ রােগের কোন প্রচলিত টিকা বা ভ্যাক্সিন নেই। অবাধ যৌন মিলন না করে সুস্থ জীবন যাপন ও ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলাই এ রােগ প্রতিরােধের উপায়। রক্ত দেয়া বা নেয়ার সময় যাতে পুরােনাে সুঁই ব্যবহার না করা হয় সে দিকে লক্ষ রাখতে হবে।

২। গনােরিয়া (Gonorrhea)

গনােরিয়া একটি সাধারণ যৌনবাহিত রােগ। সমগ্র বিশ্বে প্রতিবছর প্রায় ২০০ মিলিয়ন লােক এ রােগে আক্রান্ত হয়। তবে খুব কম ক্ষেত্রেই মারা যায়। তবে এ রােগ থেকে মারাত্মক জটিলতা দেখা দেয়। মহিলাদের থেকে পুরুষরা এ রােগে বেশি আক্রান্ত হয়।

রােগের কারণ ও সংক্রমণ

Neisseria gonorrhoeae নামক ব্যাকটেরিয়া মানবদেহে গনােরিয়া রােগের জন্য দায়ী। N.gonorrhoeae নারীর জনন নালি (সারভিক্স, জরায়ু, ফেলােপিয়ান নালিসহ) এবং নারী ও পুরুষের ইউরেথ্রার মিউকাস ঝিল্লিতে সংক্রমণ ঘটায়। মুখ, গলা, চোখ ও পায়ুর মিউকাস ঝিল্লির এ ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণে আক্রান্ত হয়। গনােরিয়া আক্রান্ত লােকের সাথে কেবল যৌন সংসর্গের মাধ্যমে এক দেহ হতে অন্যদেহে স্থানান্তরিত হয়।

গর্ভকালীন জটিলতা ছাড়াও নারী-পুরুষ উভয়ে বন্ধ্যা হয়ে যেতে পারে। সংক্রমিত বিছানার চাদর বা তােয়ালে থেকে শিশুরা এরােগ দ্বারা সংক্রামিত হতে পারে। ঘন বসতি এবং অপরিচ্ছন্নতা থেকে বাচ্চাদের গনােরিয়া হতে পারে।

রােগের লক্ষণ ও উপসর্গ

পুরুষদের ক্ষেত্রে: ১০-১৫% পুরুষ উপসর্গহীন অবস্থায় থাকে। যাদের উপসর্গ দেখা দেয় তাদের ক্ষেত্রে- প্রস্রাবের যন্ত্রণা, প্রস্রাবের তীব্র আকাঙক্ষা, ঘন ঘন প্রস্রাব করা। পরবর্তীতে মূত্রনালি দিয়ে মিউকাসের মতাে নিঃসরণ আসে, দ্রুত তা পুঁজে পরিণত হয়। প্রােস্টেট গ্রন্থির প্রদাহ, সেমিনাল ভেসিকলের প্রদাহ এবং এপিডিডাইমিসের প্রদাহের সঙ্গে জ্বর হয়। মূত্রনালির অস্বাভাবিক সংকীর্ণতা ঘটতে পারে।

দীর্ঘদিন সংক্রমণের কারণে অস্থিসন্ধিতে প্রদাহ, ত্বকে ক্ষত,সেপটিসেমিয়া, মস্তিষ্কের প্রদাহ এবং হৃদপিণ্ডের ক্ষতি হতে পারে। সমকামীরা পায়ুপথের যৌনসঙ্গম করলে পায়ুপথ সংক্রমিত হয়ে মলনালিতে তীব্র ব্যথা হয় এবং রসে ভিজে যায়।

মহিলাদের ক্ষেত্রে: শতকরা ৫০-৭৫ ভাগ মহিলা উপসর্গহীন অবস্থায় থাকে। যাদের উপসর্গ দেখা দেয় তাদের ক্ষেত্রে- যৌনাঙ্গ সংক্রমণের কারণে যােনির ওষ্ঠে লাল, দগদগে ঘা হয়। যােনিপথে হলদে বা হলদে সবুজ বর্ণের স্রাব বের হয়। প্রস্রাবের যন্ত্রণা, প্রস্রাবের তীব্র আকাঙক্ষা, ঘন ঘন প্রস্রাব করা । তলপেটে ব্যথা হয়। ডিম্বনালিতে প্রদাহ হয় । মাসিক অনিয়মিত হয় এবং তীব্র ব্যথা হয় । পায়ুপথে সঙ্গম থেকে কিংবা নিজ যােনি থেকে পায়ুপথ সংক্রমিত হলে মলনালি পথে নিঃসরণ ও রক্তক্ষরণ হতে পারে।

দীর্ঘদিন সংক্রমণের কারণে অস্থিসন্ধিতে প্রদাহ, ত্বকে ক্ষত, সেপটিসেমিয়া, মস্তিষ্কের প্রদাহ এবং হৃদপিণ্ডে ক্ষতি হতে পারে। ডিম্বনালিতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে সারা জীবনের জন্য বন্ধ্যাত্ব ঘটতে পারে। মায়ের এ রােগ থাকলে শিশু অপথালমিয়া নিওন্যাটারাম (Opthalmia neonaterum) নামক চোখের প্রদাহ নিয়ে জন্ম নিতে পারে।

চিকিৎসা

বর্তমানে গনােরিয়ার অনেক ওষুধ বের হয়েছে। রােগীকে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করতে হবে। জটিলতাহীন গনােরিয়ার ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত একক মাত্রার উপযুক্ত অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল ওষুধ বেশ ভালাে কাজ দেয়। সাধারণত পেনিসিলিন ব্যবহারে সংক্রমণ সেরে যায়। কিন্তু অন্যান্যক্ষেত্রে ৫০% পর্যন্ত সংক্রমণ পুরােপুরি পেনিসিলিনের বিরুদ্ধে প্রতিরােধ ক্ষমতাসম্পন্ন। একক মাত্রায় সিপ্রােফ্লোক্সাসিন গনােরিয়া চিকিৎসায় বেশ কার্যকর।

প্রতিরােধ

১। নিরাপদ যৌন সঙ্গম করা এবং ধর্মীয় ও সামাজিক বিধি মেনে চলা।

২।বহুগামীতা পরিত্যাগ করা এবং অনিরাপদ যৌন মিলন সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করা।

৩। যৌন মিলনে কনডম ব্যবহার করা।

৪। আক্রান্ত ব্যক্তি সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত কারও সাথে যৌন মিলন থেকে বিরত থাকা।

৫। আক্রান্ত রােগীর যথাসম্ভব দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া।

৩। এইডস (AIDS: Acquired Immune Deficiency Syndrome)

AIDS হলাে Acquired (অর্জিত) Immune(ইমিউন বা রােগ প্রতিরােধ ক্ষমতা) Deficiency (ডেফিসিইয়েন্সি বা হ্রাস) Syndrome (সিনড্রোম বা অবস্থা) এর সংক্ষিপ্ত রূপ। অর্থাৎ বিশেষ কারণে রােগ প্রতিরােধ ক্ষমতা কমে যাওয়াকে এইডস (AIDS) বলে ।

Human Immune Deficiency Virus, সংক্ষেপে HIV নামক ভাইরাস দ্বারা এ রােগ সৃষ্টি হয়। HIV ভাইরাসের আক্রমণে মানুষের শ্বেত রক্ত কণিকার ম্যাক্রোফেজ ও T4 লিম্ফোসাইট ধ্বংস প্রাপ্ত হয়। এতে দেহের রােগ প্রতিরােধ ক্ষমতা একেবারে নষ্ট হয়ে যায়। ফলে অন্যান্য রােগে আক্রান্ত হয়ে মানুষ মারা যায়। বর্তমান বিশ্বে AIDS একটি মারাত্মক রােগ। ২০০০ সালে বিশ্বে HIV আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ছিল প্রায় ৩ কোটি ৬০ লক্ষ, এদের মধ্যে মারা যায় প্রায় ৩০ লক্ষ ।

আফ্রিকার দেশসমূহে HIV র আক্রমণ বেশি লক্ষ করা যায়। ধারণা করা হয় বানরের দেহে এ ভাইরাসটি ছিল যা সর্বপ্রথম আফ্রিকায় বানর থেকে মানুষে স্থানান্তরিত হয় এবং পরে তা আমেরিকা, ইউরােপ তথা সমগ্রবিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে।

AIDS এর বিস্তার

বিভিন্ন উপায়ে এইডসের ভাইরাস একজন সুস্থ মানুষের শরীরে প্রবেশ করতে পারে। যেমন- নারী পুরুষের অস্বাভাবিক ও অসামাজিক যৌন আচরণ, সংক্রমিত সিরিঞ্জ ব্যবহার, সংক্রমিত রক্ত গ্রহণ, সংক্রমিত মায়ের গর্ভে জন্ম গ্রহণকারী শিশু, সেলুনে একই ব্লেড বা ক্ষুর বিভিন্ন জনে ব্যবহার করা, দন্ত চিকিৎসা ও শল্য চিকিৎসা গ্রহণকারী ইত্যাদি।

রােগের লক্ষণ

এইডস ভাইরাসে আক্রান্ত রােগীর শ্বেত রক্ত কণিকা ধ্বংস প্রাপ্ত হয়। ফলে রােগীর দেহ ধীরে ধীরে রােগ প্রতিরােধ ক্ষমতা হারাতে থাকে এবং নিচে বর্ণিত লক্ষণগুলাে প্রকাশ পেতে থাকে –

• প্রাথমিক অবস্থায় দেহে জ্বর আসে এবং অপ্রত্যাশিতভাবে জ্বর দীর্ঘায়িত হয়। দেহের বিভিন্ন গ্রন্থি ফুলে যায় এবং শরীর শুকিয়ে যায় ও ওজন কমতে থাকে।পেটে ব্যথা হয় এবং খাবারে অনীহা সৃষ্টি হয়। ফুসফুসে জীবাণুর আক্রমণ ঘটে এবং বুকে ব্যথাসহ শুষ্ক কফ জমে।

• অস্থি সন্ধি সমূহে প্রচণ্ড ব্যথা সৃষ্টি হয় এবং দেহে জ্বালা পােড়া হয়। শ্বাস কষ্ট, জিহ্বায় সাদা স্তর জমা, ত্বকের মিউকাস ঝিল্লি বা যে কোন ছিদ্র থেকে রক্তপাত, ঘন ঘন ফুসকুড়ি,সার্বক্ষণিক মাথা ব্যথা এবং ক্রমশ স্মৃতি শক্তি ও দৃষ্টি শক্তি হ্রাস পায়। সংক্রমণের চূড়ান্ত পর্যায়ে রােগী যক্ষ্মা, নিউমােনিয়া, ডায়রিয়া, অন্ধত্ব প্রভৃতি একাধিক রােগে আক্রান্ত হয়ে রােগ প্রতিরােধ ক্ষমতা হারিয়ে পরিশেষে মৃত্যুবরণ করে। এইডস এর লক্ষণ নারী- পুরুষে প্রায় এক রকম হলেও নারী দেহে কতকগুলাে বিশেষ লক্ষণ দেখা যায়। যেমন- যােনিতে দীর্ঘস্থায়ী বা অনিরাময়যােগ্য ঈষ্টের সংক্রমণ। এ সংক্রমণ সুস্থ নারীদেহে দ্রুত সেরে যায়। জনন তন্ত্রের বিভিন্ন অংশে সংক্রমণ জনিত প্রচণ্ড জ্বালা পােড়া ও ব্যথা সৃষ্টি হয়। জরায়ু গাত্রে হিউম্যান প্যাপিলােমা ভাইরাস (HPV) এর আক্রমণে টিউমার হওয়া এবং পরবর্তীতে সারভিক্স ক্যান্সারে রুপ নেওয়া আরেকটি লক্ষণ।

প্রতিরােধ

এইডস প্রতিরােধে নিচে বর্ণিত পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। নিরাপদ যৌন সঙ্গম করা এবং ধর্মীয় ও সামাজিক বিধি মেনে চলা। অনিরাপদ যৌন মিলন সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করা। যৌন মিলনে কনডমের ব্যবহার এবং এইডস থেকে রক্ষায় এর ভূমিকা সম্পর্কে গণ সচেতনতা সৃষ্টি করা। এইডস এর ভয়াবহতা সম্পর্কে রেডিও, টেলিভিশন, পত্রিকা, বিলবাের্ড, পােষ্টার ইত্যাদির মাধ্যমে জনগণকে সচেতন করা। ইনজেকশন গ্রহণের সময় ব্যবহৃত সিরিঞ্জ পুনরায় ব্যবহার না করা এবং শিরার মাধ্যমে কোন ড্রাগ গ্রহণ না করা। সেলুনে একটি ব্লেড একবারই ব্যবহার করা। সংক্রমিত ব্যক্তিকে চিহ্নিত করে সম্পূর্ণভাবে আলাদা রেখে চিকিৎসা প্রদান করা।

পতিতাদের নিরাপদ যৌনতা সম্পর্কে সচেতন করা।

• প্রতিবার মিলনকালে কনডম ব্যবহার করা প্রভৃতি।

সতর্কতার সাথে নিজের শারীরিক সুরক্ষা ও নিরাপত্তার প্রতি খেয়াল রাখা।

চিকিৎসা

এইডসের চিকিৎসায় ৩ শ্রেণির ওষুধ প্রয়ােগ করা হয়। যথা- রােগের প্রাথমিক পর্যায়ে HIV র প্রতিলিপিকরণ ঠেকাতে রিভার্স ট্রান্সক্রিপটেজ এনজাইমকে বাধা দিতে Nucleoside analogue Reverse Transcriptase Inhibitors (NRTIs) প্রয়ােগ করা হয়। কিন্তু এ ওষুধে অস্থিমজ্জা সহ শারীরিক অনেক প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। Non-Nucleoside analogue Reverse Transcriptase Inhibitors (NNRTIs) ওষুধ খেলে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হিসেবে রােগী ওলটপালট স্বপ্ন দেখে, সবসময় নিদ্রালু থাকে প্রভৃতি।

HIV এর জীবন চক্রের শেষ পর্যায়ে HIV Protease এনজাইমের কাজে বাধা দিতে Protease Inhibitors (PIS) জাতীয় ওষুধ প্রয়ােগ করা হয়। তবে জানা গেছে, HIV সংক্রমণ প্রতিরােধে কোন ভ্যাক্সিন আজ পর্যন্ত আবিষ্কৃত হয়নি।

Leave a Comment