কোষীয় অঙ্গাণুঃ রাইবোসোম

রাইবোসােম

এন্ডােপ্লাজমিক রেটিকুলাম এর উভয় দিকে অথবা নিউক্লিয়ার মেমব্রেন এর গায়ে, মাইটোকন্ড্রিয়া ও ক্লোরােপ্লাস্টের অভ্যন্তরে অথবা সাইটোপ্লাজমে মুক্তভাবে অবস্থিত গােলাকার ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দানার মত অঙ্গাণুকে রাইবােসােম বলে।

পলিরাইবোসোমঃসাইটোপ্লাজমে একাধিক রাইবােসােম মুক্তার মালার মত অবস্থান করলে তাকে পলিরাইবােসােম বলে।

আবিষ্কার

১৯৫৩ খ্রিস্টাব্দে রবিনসন ও ব্রাউন উদ্ভিদ কোষে এদের আবিষ্কার করেন। পরে ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দে জি. ই. প্যালাডে প্রাণীকোষে এদের দেখতে পান।উৎপত্তি:প্রােক্যারিয়ােটিক কোষে রাইবােসােম আদি ক্রোমােসােম (অর্থাৎ ডিঅক্রিরাইবােনিউক্লিকঅ্যাসিড) থেকে উৎপন্ন হয় কিন্তু ইউক্যারিয়ােটিক কোষে নিউক্লিয়ােলাসে উৎপন্ন হয়।

আকৃতি

রাইবোসোম দেখতে গোলাকার দানার মত। এদের ভিন্ন ধরণের আকৃতিও দেখা যায়।

গঠন

রাইবােসােমের ব্যাস ৯০-১৬০A। এরা দু’টি অসমান উপ একক (Sub unit) দিয়ে গঠিত এবং গােলাকার। এদের রাসায়নিক উপাদান হচ্ছে শতকরা ৫০ ভাগ রাইবােনিউক্লিক অ্যাসিড (RNA) এবং ৫০ ভাগ হিস্টোন জাতীয় প্রােটিন।

প্রকারভেদ

আকার ও সেডিমেন্টেশন সহগ (কো-এফিসিয়েন্ট) হিসেবে রাইবােসােম মূলত 70S এবং 80S এই দু’প্রকার।

70S রাইবােসােম: 50s এবং 30S এই দুই সাব ইউনিটে বিভক্ত।প্রােটিন সংশ্লেষণের সময় আদি কোষে 50S ও 30S সাব-ইউনিট একত্রিত হয়ে 70s একক গঠন করে 

80s রাইবােসােম: 60S এবং 40S এই দুই সাব-ইউনিটেবিভক্ত থাকে। প্রকৃত কোষে প্রােটিন সংশ্লেষণের সময় 60S এবং 40S সাব-ইউনিট একত্রিত হয়ে 40S একক গঠন করে।

রাইবোসোমের কাজ

১। রাইবােসােম এর প্রধান কাজ হলাে প্রােটিন সংশ্লেষণে সাহায্য করে।

২। এছাড়া স্নেহ জাতীয় পদার্থের বিপাক সাধন করে।

Leave a Comment