মানুষের করােটিক স্নায়ু

করােটিক স্নায়ু যে সব স্নায়ু মস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশ থেকে উৎপত্তি লাভ করে করােটিকার বিভিন্ন ছিদ্রপথে বের হয়ে দেহের বিভিন্ন অঙ্গে বিস্তৃত হয় তাদের করােটিক স্নায়ু বলে। মানুষের করােটিক স্নায়ু ১২ জোড়া। এদেরকে রােমান সংখ্যা (i-xii) দিয়ে চিহ্নিত করা হয়। করােটিক স্নায়ুসমূহ সেনসরি বা সংবেদী, মটর বা আজ্ঞাবাহী/চেষ্টীয় এবং মিশ্র প্রকৃতির হয়ে থাকে। সেনসরি স্নায়ু যে …

Read more

ইমিউনাইজেশন।দেহের প্রতিরক্ষায় মেমােরি কোষের ভূমিকা

ইমিউনাইজেশন বা অনাক্রম্যতাসাধন পদ্ধতি (Methed of Immunization) আগেই বলা হয়েছে অনাক্রম্যতা সাধনের ক্ষেত্রে শরীরে কোনাে রােগের জীবাণু প্রতিরােধের জন্য অ্যান্টিবডি প্রস্তুতির ব্যবস্থা করা হয়। তবে মানবদেহে দুটি পদ্ধতিতে ইমিউনিটি অর্জিত হতে পারে, যথা- সক্রিয়ভাবে ও পরােক্ষভাবে। সক্রিয় ইমিউনিটি (Active immunity) মানুষের একটি সহজাত ক্ষমতা। এই ক্ষমতা বলে, দেহে রােগের জীবাণু প্রবেশের পর মানুষের রক্তের লিম্ফোসাইট …

Read more

অ্যান্টিবডি (Antibody)

অ্যান্টিবডি (Antibody) অ্যান্টিবডি অ্যান্টিজেনের বিপরীত বস্তু বা নিজস্ব বস্তু বা কণিকা বা কোষ অথবা কোষগুচ্ছ । অ্যান্টিবডি প্রধানত অ্যান্টিজেনের সাড়ায় দেহের B-লিম্ফোসাইট থেকে উৎপাদিত প্রােটিন জাতীয় পদার্থ। এরা রক্তের প্লাজমা ও কলারসে বর্তমান থাকে। এরা অ্যান্টিজেনের সাথে যুক্ত (combine) হতে পারে এবং ক্লোনাল নির্বাচন (colonal selection) দ্বারা উৎপাদিত হয় এবং দেহের প্রধান সৈনিক বা রক্ষণাবেক্ষণের …

Read more

অর্জিত ইমিউনিটি বা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা

অর্জিত ইমিউনিটি বা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা যেসব ইমিউনিটি সহজাত নয়, জন্মের পর দেহে রােগ জীবাণু প্রবেশের ফলে সৃষ্টি হয় তাদের অর্জিত ইমিউনিটি বলে। এ রকম ইমিউনিটি প্রাণীর জন্মের পর অর্থাৎ প্রাণির জীবদ্দশায় অর্জিত হয়। কোনাে ক্ষতিকর অণুজীব কিংবা ক্ষতিকর পদার্থের প্রভাবে বা অন্য কোনাে কারণে দেহে এ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সৃষ্টি হয়। অর্থাৎ দেহের প্রয়ােজনে যে ইমিউনিটি …

Read more

দ্বিতীয় প্রতিরক্ষা স্তর

দ্বিতীয় প্রতিরক্ষা স্তর শ্বেত রক্তকণিকা থেকে উৎপন্ন বিভিন্ন ধরনের ফ্যাগােসাইটিক কোষ (ম্যাক্রোফেজ, নিউট্রোফিল ইত্যাদি), প্রদাহ সৃষ্টিকারী সাড়া (inflammatory response) ও দেহের তাপমাত্রা বৃদ্ধি প্রভৃতি দেহে দ্বিতীয় স্তরের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তােলে। ফ্যাগােসাইটিক কোষ দেহের প্রথম স্তরের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনাে কারণে অকার্যকর হয়ে পড়লে ব্যাকটেরিয়া ত্বকের ক্ষতস্থান দিয়ে দেহে প্রবেশের সুযােগ পায়। এক্ষেত্রে ক্ষতস্থানের সূক্ষ্ম রক্তনালিকাগুলাের …

Read more

প্রথম প্রতিরক্ষা স্তর

রােগজীবাণু কিংবা পরজীবী আক্রমণ প্রতিরােধের জন্য মানবদেহে সাধারণভাবে তিন ধরনের প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা লক্ষ করা যায়। ১। প্রথম প্রতিরক্ষা স্তর ২। দ্বিতীয় প্রতিরক্ষা স্তর ২। তৃতীয় প্রতিরক্ষা স্তর নিম্নে প্রথম প্রতিরক্ষা স্তর বর্ননা করা হলো- প্রথম প্রতিরক্ষা স্তর এ প্রতিরক্ষার প্রথম স্থরে নিম্নলিখিত উপাদানগুলাে জীবাণু প্রতিরােধ করে থাকে- ১। ত্বক (Skin) ত্বক দেহে অণুজীব প্রবেশের প্রধান …

Read more

দশম অধ্যায়ঃ মানব দেহের প্রতিরক্ষা

অনাক্রম্যতা বা ইমিউনিটি মানবদেহের বিভিন্ন অঙ্গ, কলা ও কোষ নিয়মতান্ত্রিকভাবে একত্রে দেহের প্রতিরক্ষা (defence) ব্যবস্থাপনায় কোন ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক, পরজীবী ও অন্যান্য জীবাণুর আক্রমণ থেকে মানুষকে প্রতিরােধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে তাকে বলা হয় ইমিউনিটি (immunity)। অনাক্রম্যতন্ত্র বা ইমিউন সিস্টেম দেহের বিভিন্ন অঙ্গ, কলা ও কোষ সমন্বয়ে গঠিত যে তন্ত্র দেহকে রােগাক্রমণের হাত থেকে এবং রােগ …

Read more

কর্ণ/কান এর গঠন ও কাজ

কর্ণ বা কান এর গঠন ও কাজ (Structure and function of ear) কর্ণের গঠন ও কাজ নিচে দেয়া হলাে- ১। বহিঃকর্ণ (External ear) বহিঃ কর্ণ শব্দ তরঙ্গ সংগ্রহ করে। তিনটি অংশ নিয়ে গঠিত। যথা- ক. কর্ণছত্র / পিনা (Pinna) পিনা কানের বাহিরের অংশ। ত্বক দ্বারা আচ্ছাদিত মাংসল এবং কার্টিলেজ নির্মিত। কাজ: কর্ণকুহরে শব্দতরঙ্গ প্রেরণ করে। …

Read more

চোখের দর্শন কৌশল।চোখের উপযােজন প্রক্রিয়া

চোখের দর্শন কৌশল আমরা কিভাবে দেখি? দর্শনীয় বস্তু হতে আগত আলােক রশ্মি ক্রমান্বয়ে কর্নিয়া, অ্যাকুয়াস হিউমার, পিউপিল, লেন্স ও ভিট্রিয়াস হিউমার এর মধ্য দিয়ে রেটিনায় পতিত হয়। আপতিত আলােক রশ্মি লেন্সের মধ্য দিয়ে যাওয়ার সময় প্রতিসৃত হয়ে রেটিনার ফোবিয়া সেন্ট্রালিসের উপর একগুচ্ছ অভিসারী রশ্মিরূপে প্রতিফলিত হয়। ফলে রেটিনার উপর বস্তুটির ছােট ও উল্টা প্রতিবিম্ব তৈরি …

Read more

রক্ত গ্রুপ (Blood Group)।সার্বজনীন দাতা ও গ্রহীতা

রক্তের গ্রুপ রক্ত কণিকার প্লাজমামেমব্রেনে অবস্থিত বিভিন্ন অ্যান্টিজেনের উপস্থিতির ভিত্তিতে রক্তের শ্রেণিবিন্যাসকে রক্ত গ্রুপ (Blood Group) বলে। আমেরিকার জীববিজ্ঞানী কার্ল ল্যান্ডস্টেইনার (Karl Landsteiner) ১৯০১ সালে মানুষের রক্তের শ্রেণিবিন্যাস করেন। রক্ত কণিকায় অ্যান্টিজেনের উপস্থিত ও অনুপস্থিতির উপর নির্ভর করে রক্তের যে শ্রেণিবিন্যাস করেন, তা ABO ব্লাড গ্রুপ নামে পরিচিত। অনেক সময় একে ল্যান্ডস্টেইনার এর ব্লাড গ্রুপ …

Read more