- প্রোটিন সংশ্লেষণ বলতে কী বুঝেন? প্রোটিন সংশ্লেষণ প্রক্রিয়া বর্ণনা করুন।
প্রোটিন সংশ্লেষণ বলতে কী বুঝেন? প্রোটিন সংশ্লেষণ প্রক্রিয়া বর্ণনা করুন।

আপনি আরোও পড়তে পারেন……. ইমিউনাইজেশন।দেহের প্রতিরক্ষায় মেমােরি কোষের ভূমিকা …… ব্রণ কেন হয়? ব্রণ হয়ার ১৫ টি কারণ !
https://youtu.be/_Fl8AjDoepw এই লিঙ্কে ক্লিক করে ভিডিও দেখতে পারেন…….
প্রোটিন সংশ্লেষণ :
যে জটিল ও ধারাবাহিক জৈবরাসায়নিক প্রক্রিয়ায় DNA কর্তৃক সৃষ্ট জিনেটিক কোড RNA কর্তৃক অনুবাদিত হয়ে রাইবোজোমে অ্যামিনো অ্যাসিড সংযুক্তির ফলে প্রোটিন উৎপাদন হয় তাকে প্রোটিন সংশ্লেষণ বলে।
উইকিপেডিয়া
সংঘটন স্থান : সাইটোপ্লাজম
প্রোটিন সংশ্লেষণের প্রয়োজনীয় উপকরণ :
DNA, mRNA, রাইবোসোম, rRNA, tRNA, এমাইনো এসাইল tRNA সিনথেটেজ এনজাইম, এমাইনো এসিড।

প্রোটিন সংশ্লেষণ প্রক্রিয়া :
প্রোটিন হচ্ছে এক ধরনের বৃহদাকার জৈব অণু (Organic macromolecule) যার গঠন একক হলো অ্যামাইনো অ্যাসিড । অর্থাৎ অনেকগুলো অ্যামাইনো অ্যাসিড পেপটাইড বন্ড দ্বারা পরস্পর যুক্ত হয়ে প্রোটিন অণু গঠন করে। আর জীবকোষে এ প্রোটিন সংশ্লেষণ DNA দ্বারাই পরিচালিত হয়।
অর্থাৎ DNA (জিন) নির্ধারণ করে কোষে কখন কোন ধরনের প্রোটিন সংশ্লেষণ হবে। অবশ্য যেসব কোষে DNA অনুপস্থিত সেক্ষেত্রে জেনেটিক RNA প্রোটিন সংশ্লেষণ নিয়ন্ত্রণ করে। DNA এর মধ্যে যে জিনগত তথ্য থাকে তা সরাসরি প্রোটিন সংশ্লেষের ছাঁচ (template) হিসেবে কাজ করতে পারে না।
তাই ট্রান্সক্রিপশন এর মাধ্যমে জিনগত তথ্য DNA থেকে mRNA এর মধ্যে প্রতিস্থাপিত (transcribed) হয়। DNA-র পরপর তিনটি বেস সজ্জাক্রম (triplet) হলো একটি বিশেষ অ্যামিনো অ্যাসিডের জন্য এক সংকেত বা Code (যেমন- ট্রিপলেট UUU হলো ফিনাইল অ্যালানিনের কোড)। mRNA সাধারণত DNA এর সংকেত অনুযায়ী tRNA, অ্যামিনো অ্যাসিড ও রাইবোজোমের সহায়তায় প্রোটিন তৈরি করে থাকে।
প্রোটিন সংশ্লেষণের ধাপ
প্রোটিন সংশ্লেষণের ধাপ ৩টি যথা-
- ১। ট্রান্সক্রিপশন
- ২। ট্রান্সলেশন
- ৩। প্রোটিন রূপায়ণ
১। ট্রান্সক্রিপশন(Transcription) :

RNA পলিমারেজ এনজাইমের কার্যকারিতায় DNA অণুর একটি নির্দিষ্ট স্থানে সূত্র দুটির মধ্যের হাইড্রোজেন বন্ডগুলো ভেঙে যায় এবং সূত্র দুটি আলাদা হয়ে যায়। এরপর DNA এর আলাদা হয়ে যাওয়া সূত্র দুটির মধ্যে একটি সূত্র ছাঁচের (Templete) ন্যায় কাজ করে ও mRNA সৃষ্টি করে।
mRNA তৈরি হওয়ার পর এরা নিউক্লিয়ার রন্ধ্র দিয়ে সাইটোপ্লাজমে আসে এবং রাইবোজোমের সাথে যুক্ত হয় । mRNA উৎপন্ন হবার সময় যখন DNA সূত্রের মধ্যে Non sense code এর সংস্পর্শে আসে তখন ট্রান্সক্রিপশন বন্ধ হয়ে যায়।
২। ট্রান্সলেশন
ট্রান্সক্রিপশন এর মাধ্যমে উৎপন্ন mRNA নিউক্লিওরন্ধ্র পথে সাইটোপ্লাজমে এসে রাইবোজোমের সাথে যুক্ত হয় এবং mRNA-র নিউক্লিওটাইডের ভাষা প্রোটিনের ভাষায় প্রকাশ করে। এ mRNA তে অবস্থিত DNA-র জেনেটিক তথ্যকে প্রোটিনের ভাষায় প্রকাশ করাকে ট্রান্সলেশন (Translation) বলা হয়। এই ট্রান্সলেশন প্রক্রিয়াটি জটিল ও সুদীর্ঘ এবং কয়েকটি ধাপে বিভক্ত। ধাপগুলো নিম্নরূপ :
ক)পলিরাইবোসোম গঠন

রাইবোসোমের উপ একক যেমন 60s ও 40s rRNA এর সাহায্যে যুক্ত হয়ে 80s পলিরাইবোসোম গঠন করে। পলিরাইবোসোম গঠন না হলে প্রোটিন সংশ্লেষণ শুরু হবে না।
খ) এমাইনো এসিড সক্রিয়করণ
এমাইনো এসিড সাইটোপ্লাজমে নিষ্ক্রিয় বা ডিসচার্জ অবস্থায় থাকে। এমাইনো এসিড এমাইনো এসাইল tRNA সিনথেটেজ এনজাইম এর উপস্থিতিতে ATP এর সাথে যুক্ত হয় ফলে এমাইনো এসাইল এডিনোসিন মনোফসফেট যৌগ তৈরি হয়। অপর দিকে পাইরুফসফেট বের হয়ে যায়।

গ) এমাইনো এসাইল tRNA যৌগ সৃষ্টি
এমাইনো এসাইল এডিনোসিন মনোফসফেট যৌগ tRNA এর সাথে যুক্ত হয় এমাইনো এসাইল tRNA সিনথেটেজ এনজাইম এর উপস্থিতিতে ফলে এমাইনো এসাইল-tRNA যৌগ তৈরি হয় এবং এডিনোসিন মনোফসফেট বের হয়ে যায়। এসাইল-tRNA যৌগকে চার্জড্ tRNA ও বলা হয়। tRNA এর রাইবোজ সুগারের -OH প্রান্তের সাথে এমাইনো এসিডের -COOH প্রান্তের মধ্যে বন্ধন তৈরি হয়।
ঘ) প্রোটিন সংশ্লেষণের সূচনা
রাইবোসোমের ছোট এককের সাথে mRNA যুক্ত হয় আর বড় এককের সাথে tRNA যুক্ত হয়। রাইবোসোমের ৩ সাইট থাকে যথা- A,P,E সাইট। A সাইটের এক প্রান্তে mRNA সূত্রের AUG কোডন যুক্ত হলে অপর প্রান্ত হতে tRNA এর এন্টিকোডন বাহু যুক্ত হয় এই tRNA এর বিপরিত প্রান্তে মিথিওনিন এমিনো এসিড থাকে।এভাবে ট্রান্সলেশন শুরু হয়। রাইবোসোম mRNA এর ৫ প্রান্ত থেকে ৩ প্রান্তের দিকে সরে যায় অন্যদিকে tRNA ৩ প্রান্ত থেকে ৫ প্রান্তের দিকে সরে আসে।

ঙ)শিকল দীর্ঘ করণ
A সাইট থেকে tRNA ট্রান্সলেট হয়ে P সাইটে সরে আসলে A সাইট খালি হয় সেখানে নতুন একটি tRNA যুক্ত হয় ফলে নতুন আরেকটি এমিনো এসিড যুক্ত হয়। ১ম tRNA P সাইট থেকে E সাইটে আসে তখন ২য় tRNA P সাইটের স্থান দখল করে। ১ম tRNA E সাইট থেকে সরে যাওয়ার সময় এর এমিনো এসিড টি ২য় tRNA এর এমিনো এসিডের সাথে পেপটাইড বন্ধন দিয়ে যুক্ত হয়। এভাবে একেরপর একটি এমিনো এসিড যুক্ত হয়ে পলিপেপটাইড শিকল তৈরি করে।
চ) ট্রান্সলেশন সমাপ্তকরণ
UAA,UAG,UGA এই তিনটি জিনেটিক কোডন কে বলে স্টপ কোডন। রাইবোসোম যখন mRNA সূত্রকের এই তিনটি জিনেটিক কোডনের যেকোন একটিতে পৌছে যায় তখন ট্রান্সলেশন বন্ধ হয়ে যায়। সব উপাদান ভেঙে যায়।
৩।প্রোটিনে রূপায়ণ
পলিপেপটাইড শিকল পরস্পর যুক্ত হয়ে প্রোটিন তৈরি করে। সাইটোপ্লাজমের বিভিন্ন এনজাইম ও অঙ্গাণু বিভিন্ন পরিবর্তন এর মাধ্যমে একটি কার্যকর প্রোটিন সৃষ্টি করে।
Please click on just one add To healp Me
মহাশয়, জ্ঞান বিতরণের মত মহৎ কাজে অংশ নিন।ওয়েবসাইট টি পরিচালনার খরচ হিসেবে আপনি কিছু অনুদান দিতে পারেন, স্পন্সর করতে পারেন, এড দিতে পারেন, নিজে না পারলে চ্যারিটি ফান্ডের বা দাতাদের জানাতে পারেন। অনুদান পাঠাতে পারেন এই নম্বরে ০১৭২৩১৬৫৪০৪ বিকাশ,নগদ,রকেট।
এই ওয়েবসাইট আমার নিজের খরচায় চালাই। এড থেকে ডোমেইন খরচই উঠেনা। আমি একা প্রচুর সময় দেই। শিক্ষক হিসেবে আমার জ্ঞান দানের ইচ্ছা থেকেই এই প্রচেষ্টা। আপনি লিখতে পারেন এই ব্লগে। এগিয়ে নিন বাংলায় ভালো কিছু শেখার প্রচেষ্টা।